মঙ্গলবার টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানান, ভোটের সুষ্ঠতা নিয়ে ‘অত্যন্ত ভুল’ মন্তব্য করায় তিনি সাইবারসিকিউরিটি ও ইনফ্রাস্টাকচার সিকিউরিটি এজেন্সির (সিসা) প্রধান ক্রিস ক্রেবসকে ‘বরখাস্ত’ করেছেন।
‘গুজব নিয়ন্ত্রণ’ নামে সিসার একটি ওয়েবসাইটকে কেন্দ্র করে ক্রেবস হোয়াইট হাউসের অসন্তুষ্টির কারণ হয়ে উঠেছিলেন বলে জানা গেছে। এই ওয়েবসাইট থেকে নির্বাচন সংক্রান্ত ভুল তথ্যের অসারতা তুলে ধরা হত, ওই সব তথ্যের বেশিরভাগই ছড়াতে স্বয়ং প্রেসিডেন্ট ভূমিকা রেখেছিলেন।
বরখাস্ত হলেও নিজের বলা কথা নিয়ে ক্রেবসের মধ্যে কোনো আক্ষেপ দেখা যায়নি বলে জানিয়েছে বিবিসি।
বরখাস্ত হওয়ার পর এক টুইটে ক্রেবস বলেছেন, “সেবা দিতে পেরে সম্মানিত। আমরা ঠিক কাজ করেছি। ‘আজ’-কে রক্ষা করে আগামীকালকে সুরক্ষিত কর। ২০২০ কে রক্ষা কর।”
বরখাস্ত হওয়ার কিছুক্ষণ আগে ক্রেবস আরেকটি টুইট পোস্ট করেছিলেন, সেখানে তাকে ট্রাম্পের অভিযোগ খণ্ডন করতে দেখা গেছে। ট্রাম্প বলেছিলেন, বিভিন্ন রাজ্যে ব্যালটগুলো তার প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনের দিকে পাঠিয়ে দিয়েছে ভোটিং মেশিনগুলো।
এই অভিযোগ খণ্ডন করে টুইটে ক্রেবস বলেছেন, “নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে কারসাজি করা হয়েছিল বলে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে, ৫৯ জন নির্বাচনী নিরাপত্তা কর্মকর্তার সবাই একমত হয়েছেন যে ‘আমাদের জানা প্রত্যেকটি অভিযোগই হয় কোনো প্রমাণ ছাড়াই করা হয়েছে অথবা প্রযুক্তিগতভাবে অসম্ভব।’ ২০২০ কে রক্ষা কর।”
বিবিসি জানিয়েছে, ৩ নভেম্বরের নির্বাচনটি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে সুরক্ষিত নির্বাচন হয়েছে বলে গত সপ্তাহে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যে অল্প কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা ঘোষণা দিয়েছিলেন, ক্রেবস তাদের একজন ছিলেন।
কিন্তু ট্রাম্প নির্বাচনে পরাজয় মেনে নিতে অস্বীকার করেছেন, কোনো প্রমাণ ছাড়াই ভোটে ‘ব্যাপক কারচুপি’ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন।
All rights reserved © Use of website without any written permission illegal
Leave a Reply